স্টাফ রিপোর্টারঃ হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনের সন্ধান বের করতে এক “ভন্ড”কবিরাজের কাছে গিয়ে এক তরুণী (১৬) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত শহিদ মিয়া (৩০) নামের ওই ভণ্ড কবিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। বুধবার আসামীকে আদালতের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
মঙলবার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় এঘটনা ঘটে।
শহিদ মিয়া উপজেলার চিলাউড়া-হলিদপুর ইউনিয়নের কবিরপুর গ্রামের শানুর উল্লাহর ছেলে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই ওই তরুণীর মা বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনের সন্ধান পেতে ওই তরুণী তার মায়ের সঙ্গে ভণ্ড কবিরাজ শহিদ মিয়ার বাড়িতে যান। এ সময় শহিদ মিয়া ওই তরুণীর মাকে গোলাপজল ও গুল মরিছ নিয়ে আসার জন্য মেয়ে রেখে বাহিরে পাঠান।
তখন ওই তরুণীর মা কবিরাজের কথা মত মেয়েকে রেখে গোলাপজল ও গুল মরিছ আনতে চলে যান। এ সুযোগে ভণ্ড কবিরাজ শহিদ জোরপূর্বক ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন।
মামলার বাদী ওই তরুণীর মা বলেন, গোলাপজল ও গুল মরিছ নিয়ে গিয়ে দেখি ব্যথায় আমার মেয়ে কান্না করছে। বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়েছি। পরে থানায় গিয়ে ভণ্ড কবিরাজ শহিদ মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করি।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই ভণ্ড কবিরাজ শহিদকে নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি যুগান্তর কে বলেন,প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে ভন্ড কবিরাজ শহিদ মেয়েটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। সে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত।
ওই ভণ্ড কবিরাজ দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল বলে জানা গেছে।
Leave a Reply